সুন্দরী বিমানবালারা বিমানে যেসব অনৈতিক কাজ করে থাকে।

বিমানবালাদের কাজ কি

আমরা সবাই জানি বিমানবালা একটি আকর্ষনীয় পেশা। অনেকে মেয়েরা আছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ভবিষ্যতে বিমানবালা হওয়ার জন্য সেই স্কুল লাইফ থেকেই স্বপ্ন দেখে। বর্তমান তরুন সমাজের মধ্যে বিমানবালা নামক পেশাটি বেশ সাড়া ফেলেছে । কিন্তু, বাস্তবিক দিক দিয়ে এই বিমানবালা  পেশাটি নারীদের জন্য কতটুকু নিরাপদ? 

কথায় আছে , চকচক করলেই যেমন সোনা হয়না, তেমনি বেশি বেতন ও লোভনীয় বিলাসী লাইফ স্টাইল থাকলেই যেন আহামরি কোন স্টান্ডার্ড পেশা হয়না। কিন্তু আপনি অবাক হবেন, কিংবা মনে মনে আমার সম্পর্কে একটা বাজে চিন্তাও মাথায় আনতে পারেন। ভাবতে পারেন লোকটা আসলে বলে কি,  পাগল হয়ে গেছে নাকি? কিন্তু আমি বলব, যারা একটু ইসলামিক নিয়ম কানুন মেনে সাভাবিক চাকরি বা অন্য পেশার মাধ্যমে জীবন যাপন করতে চায়।তাদের জন্য আসলে এই বিমানবালা পেশাটি না। এই পেশা টি হলো তাদের জন্য, যারা ইসলামিক রীতি নীতি বা পর্দা পুষিদা বা লজ্জা শরম কে যারা প্রাধান্য দেয়, যারা চায় জীবনে একটা গর্জিয়াস লাইফ স্টাইল। আসলে তাদের জন্য এই পেশাটি। পুরো আর্টিকেল টি পড়ুন, তাহলে আপনি সবই বুঝতে পারবেন। 



জানা গেছে বর্তমানে বিমানে যাত্রীদের যৌন সেবা প্রদান করছে অধিকাংশ সুন্দরী লজ্জাবতী  বিমানবালারা । নাম না বলা এক বিমানবালা বলেছেন যে, তিনি দুই বছরে বিমানের টয়লেটে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে ৬৫ হাজার ডলার ইনকাম করেছেন। তারপর একে একে ফাঁস হতে থাকে বিমানবালা মেয়েদের জীবনের গোপন রহস্য।


পনের বছর ধরে নি্যুক্ত এক নারী বিমানবালা মেয়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, বিমানের বিজনেস ক্লাস বা প্রথম শ্রেনী অনেকটা পতিতালয়ের মত। কেননা এখানে ধনী যাত্রীদের সাথে বিমানবালা মেয়েরা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে লিপ্ত হয় মোটা অর্থের বিনিময়ে । এই ধরনের কাজ যারা করতেন। সেই বিমানবালারা সাধারনত দূরের ফ্লাইট বেছে নিত। কারন তারা ক্লাইন্টের সাথে ৯০ মিনিট কাটানোর জন্য তারা ৩০০ থেকে ৪৫০ ডলার দাবি করত । 


তিনি আরো বলেছেন ,অনেক পাইলটরা তাদের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য বেছে নিতো বিমানবালাদের । তাছাড়া একটু নিরব পরিবেশ পেলেই বিমানের কর্মীদের অনেকেই একে অপরের সাথে মেতে উঠেন যৌন লিলাখেলায়। যারা বিমানে এই ধরনের কাজ করত, তারা তাদের সময় মত বিমানবালাদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে ডেকে নেন নিরব পরিবেশে তারপর তারা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে ।


এছাড়াও রাতের বেলা পার্টি ও যাত্রীদের সাথে রাত্রিযাপন তাদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার এটা । এখানেই শেষ নয় বিমানবালা নিয়োগের সময় ও ট্রেনিং এর সময় পাইলটরা ইশারায়ই নাকি বুঝিয়ে দেন যে, তাদের সাথে কিন্তু ঘনিষ্ঠভাবে সময় কাটাতে হবে।


একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ৭১৮ জন বিমানবালাদের মধ্যে ২১ শতাংশ স্বীকার করেছে যে তারা ফ্লাইটের সহকর্মীদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে ও ১৪ শতাংশ স্বীকার করেছে যে তারা যাত্রীদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেছে ।



বর্তমানে বিমানবালা হিসেবে কম বয়সী সুন্দরী, রুপসী নারীদের, এক কথায় পতিতাদের নিয়োগ করা হচ্ছে। যাতে তারা সহজেই নিজেদের খুব সহজেই এই বিলাসী আমোদ প্রমোদে ভরা পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে নিজেরা টাকা আয় করতে পারে আর নিয়োগকারীরা হাতিয়ে নিতে পারে মোটা অঙ্কের টাকা ।


সব বিমানবালারা যে সেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক করে তা হয় , অনেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এত খারাপ হয় যে, তারা চাকরি বাচানোর তাগিদে ও প্রমোশনের জন্য যৌন সম্পর্ক স্থাপনে লিপ্ত হতে বাধ্য হয় ।

আবার চাকরিতে যোগদানের পূর্বে কন্টাক্ট পেপারে কি লিখা আছে সেটা না পড়েই সই করে দেন।আর এই সামান্য ভুলটি তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়ায় । তখন বাধ্য হয়েই তাদের কে এইসব কাজে লিপ্ত হতে হয় ।

সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গেছে যে , ৭০ শতাংশ বিমানবালারা যাত্রীদের ও পাইলট দ্বারা বা উভয় কতৃক যৌন হয়রানির স্বীকার হয় ।


আজকের লেখাটি পড়ার পর আপনার কি মনে হয় ? আসলেই কি বিমানের মত এমন পবিত্র স্থানে বসে বিলানবালারা এমন অপবিত্র, নোংরা কাজ যৌন সম্পর্কে স্থাপন করে থাকে। নাকি এগুলো সবই গুজব,  মিথ্যা, বানোয়াট ? আপনার মুল্যবান মতামত অবশ্যই কমেন্টস করে জানাবেন। আল্লাহ হাফেয।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url