বাংলাদেশের প্রথম সারির পাঁচটি দর্শনীয় স্থান | Top 5 Tourist Place in BD
বাংলাদেশের সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থান
অনেকদিন ধরে হয়তো ভাবছেন কোথাও ঘুরতে যাবেন। কিন্তু ঠিক করতে পারছেন না কোথায় ঘুরতে যাবেন। হয়তো মনে মনে ঠিক রেখেছেন, এবার দেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবেন। কিন্তু আপনাকে বলব বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা টা আপাতত্ত মাথা থেকে নামিয়ে রাখুন। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেখান থেকে আপনি ঘুরে আসতে পারেন। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক এদেশে ঘুরতে আসেন। আপনি চাইলে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করছি। এতে আপনার খরচও কম হবে আর সময়ও বাচবে।
১. টাঙ্গুয়ার হাওর
বাংলাদেশের সুবিশাল গামলা আকৃতির অগভীর জলাভূমিকে হাওর বলে। যা প্রতিবছর বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়ে ঢেউহীন সাগরে আকার ধারণ করে। বছরের সাত মাস হাওরগুলো পানিতে ডুবে থাকে। আবার শীত ও গ্রীষ্মে হাওরগুলোকে মনে হয় সীমাহীন ধু ধু প্রান্তর। সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মাঝে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটারের এলাকা জুড়ে ঘন নীল জলরাশি নিয়ে শুয়ে আছে টাঙ্গুয়ার হাওর। আসলে এটি 51 টি ছোট হাওরের সমন্বয়ে তৈরি বিস্তীর্ণ এক জলাভূমি। মূল হাওড় অবশ্য
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি এই টাঙ্গুয়ার হাওর। যে হাওরে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে এসেছে 30 টিরও বেশী ঝরনা। অথই পানি,,জলাবন, নীল আকাশ ও চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সবুজ সীমারেখা টাঙ্গুয়ার হাওর কে যেন অপরূপ সাজে সজ্জিত কর। টাঙ্গুয়ার হাওরের আয়তন ৬৯১২ একর, কিন্তু বর্ষাকালে ত প্লাবিত হয়ে দাড়ায় প্রায় ২০০০০ একরে। টাঙ্গুয়ার হাওরে বর্ষাকালে প্রায় ১৪০ প্রজাতির মাছ ও শীতকালে প্রায় ২৫০ প্রজাতির পাখি বিচরন করে থাকে।
টাঙ্গুয়ার হাওর বেরোনোর আদর্শ সময় বর্ষাকাল। কারণ এই সময় টাঙ্গুয়ার হাওর জলে টইটুম্বুর থাকে। তবে পাখি দেখতে হলে অবশ্যই যেতে হবে শীতকালে।
টাঙ্গুয়ার হাওর যেতে হলে ঢাকা বা সিলেট থেকে যেতে হবে সুনামগঞ্। সেখান থেকে অটো করে যেতে হবে তাহেরপুর ঘাটে। সেখান থেকে আপনাকে যন্ত্রচালিত নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে টাঙ্গুয়ার হাওরে। নৌকা যতই এগোতে থাকবে ততই হাওরের পানি কাঁচের মত স্বচ্ছ হতে থাকবে। দেখতে পাবেন পানির নিচে মাছের খুনসুটি, প্রাকৃতিক গাম্ভীর্যপূর্ণ চলাফেরা
সারাদিন টাঙ্গুয়ার হাওরের বুকে ঘোরাফেরার পর নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে। টাঙ্গুয়ার হাওরে থাকার জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই, তবে যদি নৌকায় রাত কাটাতে চান তাহলে নিরপত্তার জন্য পাহাড়ের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন। আর ঘর ভাড়া করতে চাইলে টেকেরঘাট এলাকায় হাওর বিলাশ নামে কাঠের বাড়িতে স্বল্পমূল্যে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন। তবে টাঙ্গুয়ার হাওরে নৌকায় এক রাত থাকার অভিজ্ঞতা নিলেও ভালো লাগবে
২. রাতারগুল জলাবন
বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য যা সিলেট এর গোয়াইন ঘাটে অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব 26 কিলোমিটার।
সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ রাতা গাছ নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এই বনের নাম করন করা হয়েছে রাতারগুল।
সিলেট জেলার গোয়াইন ঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে, গোয়াইন নদীর দক্ষিনে এই বনের অবস্থান। বনের দক্ষিন দিকে আবার রয়েছে দুটি হাওর। শিমুল বিল হাওর ও নেওয়া বিল হাওর।
পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি হল এই রাতারগুল জলাবন । এই বন সংরক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বনবিভাগ। চিরসবুজ এই বন সিলেটের গোয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত। যা চেংগির খালের সাথে একে সংযুক্ত করেছে।
রাতারগুল বনের আয়তন প্রায় ৩০.৩২৫ একর। এখানে বনের আয়তন শধু ৫০৪ একর, বাকি সব জায়গায় রয়েছে ছোত বড় অনেক জলাশয়। তবে বর্ষার মৌসুমে পুরো এলাকাটি একই রকম দেখায়। বর্তমানে রাতারগুল হল সিলেটের সুন্দরবন। আবার অনেক ভ্রমণপিপাসুদের কাছে রাতারগুল হলো বাংলাদেশের অ্যামাজন ।
এখানে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ। এছাড়াও এখানে চোখে পড়বে হিজল, বরুন, কদম, জালিবেত, অর্জুনসহ প্রায় ২৫ প্রজাতির গাছ। বর্ষাকালে এই বন 20 থেকে 30 ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বছরের বাকিটা সময় 10 ফুটের মতো পানির উচ্চতা থাকে এখানে।তখন এখানকার খালগুলো পায়ে চলার মত পথে পরিণত হয়। আর তখন জল বিভাগের শুধু তৈরি করা খালগুলোতে পানি থাকে যেখানে সমস্ত প্রাণীকুল আশ্রয় নেয় ।
জলে নিম্নাঙ্গ ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বনের গাছগুলো দেখতে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ভিড় করে পর্যটকগণ। বনের ভিতর ভ্রমণ করতে দরকার হয় নৌকার। তবে সেগুলো হতে হয় ডিঙ্গি নৌকা। ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে বনের ভিতরে ঘুরতে ঘুরতে দেখা যায় প্রকৃতির অসাধারন রূপসুধা । তবে বনের ভিতর ভ্রমণ করতে দরকার হয় রাতারগুল বনবিভাগের অফিস থেকে।
সাধারণত বর্ষার শেষের দিকে রাতারগুল ভ্রমণের উপযুক্ত সময় অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবর মাস।
রাতারগুল যেতে হলে প্রথমে সিলেট শহরে যেতে হবে।সেখান থেকে অটো, সিএনঞ্জি বা জিপে করে খুব সহজেই রাতাতগুল যেতে পারবেন। রাতারগুল লালবাজার এলাকা এবং দরগা রুটে কম ভাড়ায় অনেক আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস আছে। সেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরনের রুম পাবেন । এছাড়া ভালো সার্ভিসের অনেক আবাসিক হোটেলও সেখানে রয়েছে।
৩. কুয়াকাটা
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগর কন্যা হিসেবেও পরিচিত। 18 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। এটা বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।
সূর্য উদয় সবচেয়ে ভালো দেখা যায় সৈকতের পূর্বপ্রান্তের গঙ্গামতির বাগ থেকে। আর সূর্যাস্ত দেখার ভালো জায়গা হচ্ছে কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত। সৈকতের একপাশে বিশাল সমুদ্র আর অন্য পাশে আছে সারি সারি নারিকেল গাছ। কুয়াকাটার পরিচ্ছন্ন বেলাভূমি, অনিন্দ্য সুন্দর সমুদ্র সৈকত দিগন্তজোড়া সুনীল আকাশ এবং ম্যানগ্রোভ বন কুয়াকাটাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়ন এ কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়ক পথের দূরত্ব প্রায় 380 কিলোমিটার ও বরিশাল থেকে 108 কিলোমিটার। কুয়াকাটা পটুয়াখালী সদর থেকে 70 কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত। কুয়াকাটার নামের পেছনে রয়েছে এদেশে আরাকানদের আগমনের সাথে জড়িত ইতিহাস।
কুয়া শব্দটি এসেছে কুপ থেকে। ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মোঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে আরাকানরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তখন তারা এখানে সুপেয় জলের অভাব পূরণ করতে প্রচুর কুয়া বা কুপ খনন করেছিল। সেই থেকে এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় কুয়াকাটা।
কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফাতরার বন,কুয়াকাটারা কুয়া,সীমা বোদ্ধ বিহার,কেরানীপাড়া, আলীপুর বন্দর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার ও গঙ্গামতির জঙ্গল ইত্যাদি।
নদীপথে ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী বা বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। এছাড়া বাস যোগেও ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা যাওয়া যায়।
পর্যটকদের থাকার জন্য কুয়াকাটায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। মান ও শ্রেনি অনুযায়ী এই সব হোটেলে ৪০০ থেকে ৫০০০ টাকায় প্রতিরাত হিসেবে থাকতে পারেন। হোটেলের রুম ভাড়া কমাতে কয়েকজন মিলে শেয়ার করে থাকতে পারেন। সিজন বা সরকারী ছুটির দিন ছাড়া কুয়াকাটা গেলে আগে থেকে হোটেল বুক করার প্রয়োজন পরেনা। আর সব কিছুর জন্য অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন।
৪. জাফলং
জাফলং বাংলাদেশের সিলেটে গোয়াইন ঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি পর্যটন স্থল। জাফলং কে প্রকৃতির কন্যা বলা হয়। জাফলং সিলেট থেকে 62 কিলোমিটার উত্তর পূর্বে অবস্থিত। ভারতের মেঘালয় সিমান্ত ঘেষে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এবং এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলন বলে এই এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত।
১৯৮০ র দশকে সিলেটের সাথে জাফলংয়ের ৫৫ কিলোমিটার সড়ক তৈরি হওয়ার মাধ্যমে দেশের অন্যান্য সকল অঞ্চল থেকে এই এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সড়ক পথে সিলেট সদর থেকে এই স্থানের দূরত্ব 56 কিলোমিটার। পর্যটনের সাথে সাথে জাফলং
পাথরের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষেরা পাথরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে সে বহু বছর আগে থেকেই। জাফলংয়ে পাথর ছাড়াও পাওয়া গেছে সাদা মাটি বা চিনামাটিও। এই এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উপজাতিরাও বসবাস করে।
জাফলংয়ের বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়ালেই ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে থাকা উচু উচু পাহাড় শ্রেনী দেখা যায়। এসব পাহাড় থেকে নেমে আসে ঝরনা। যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতুও আকর্ষণ করে অনেককেই। এছাড়া পিছনে স্বরপিল আকারে বয়েচলা ডাউকী নদীও টানে অনেক পর্যটকদের।
মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়ে নদীর স্রোত বেড়ে গেলে নদি ফিরে পায় তার প্রান এবং পরিবেশ হয়ে ওঠে আরো মনোরম। ডাউকি নদীর পানির স্বচ্ছতাও জাফলং এর অন্যতম আকর্ষণ। পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষকে ঘিরে জাফলংয়ে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। এই মেলাকে ঘিরে উৎসবে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বর্ষাকালে ও শীতকালে জাফলং এর আলাদা আলাদা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
বর্ষাকালে বৃষ্টিস্নাত গাছগাছালী আর খরস্রোতা নদী হয় দেখার মত। তছাড়া পাহাড়ের মাথায় মেঘের দৃশ্যও যথেষ্ট মনোরম।
জাফলং যেতে হলে আপনাকে প্রথমে সিলেট যেতে হব। সেখান থেকে খুব সহজেই সিএনজি লেগুনা বা মাইক্রোবাসে করে জাফলং যেতে পারবেন।
সাধারণত জাফলং ভ্রমণকারী পর্যটকরা রাত্রিযাপনের জন্য সিলেট শহরেই ফিরে আসেন। তাছাড়া সিলেট থেকে অন্যান্য ভ্রমণ স্থানে যাওয়াও সুবিধাজনক। সিলেটের অধিকাংশ হোটেল গুলোই শাহজালাল মাজারের আশেপাশে অবস্থিত। কম খরচে থাকতে চাইলে দরগার ঘাট এলাকায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে অনেক মান সম্মত হোটেলে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া দরগা গেট হতে আম্বরখানা, তালতলা,লামাবাজার ও কদমতলীতে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে।
৫. রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি জেলার জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, রাজবন বিহার, ঝুবলং ঝরনা, নৌবাহিনী পিকনিক স্পট, কাপ্তাই বাঁধ, কর্ণফুলী নদীর পানি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি ভাস্কর্য, উপজাতীয় জাদুঘর , কর্ণফুলী পেপার মিল সহ আরো অনেক কিছু।
প্রায় সারা বছরই কাপ্তাই লেক ভ্রমনের জন্য যাওয়া যায়, তবে বর্ষায় হ্রদের আশেপাশের ঝরনা গুলোর পরিপূর্ণরূপে এর দেখা মেলে।দেশের যেকোন স্থান থেকে খুব সহজেই বাস বা ট্রেনযোগে কাপ্তাই হ্রদে যাওয়া যায়। এখানে রাতে থাকার জন্য তেমন কোন ভাল হোটেল নেই। এখানে যদি রাত্রি যাপনের ইচ্ছা থাকে তাহলে সরকারি রেস্ট হাউসগুলোতে কম খরচে থাকতে পারবেন। তবে এজন্য আগে থেকেই তাদের সাথে যোগাযোগ করে আসলে ভাল হবে।