বাত রোগের কারন কি। বাত রোগ থেকে মুক্তির উপায়
বাত রোগ কেন হয়? বাত রোগের চিকিৎসা কি
আমাদের মধ্যে অনেকেরই বাত রোগ রয়েছে। এই রোগটা দুঃসহ যন্ত্রণাময় তা যার বাত রোগ হয়েছে। হয়েছে সেই বুঝতে পারবে। অন্যথায় বোঝা সম্ভব নয়। আজকে আমরা জানবো বাত রোগ কি। বাত রোগ কেন হয়। বাত রোগ হলে করনীয় কি। বাত রোগ থেকে বাঁচার উপায়। বাত রোগের প্রতিকার। বাত রোগের চিকিৎসা। বাত রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন।
বাত রোগ কিঃ
বাত রোগ বা আর্থ্রাইটিস একটি সিস্টেমিক রোগ যা পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে।
বাত রোগ কেন হয়ঃ
সাধারণত শরীরের হাতে পায়ের কিংবা মাজাযর জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমে এ রোগ হয়। প্রস্রাবে যে পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হয় তার থেকে যদি বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড আমাদের যকৃত তৈরি করে থাকে তাহলে তা আমাদের লিভারে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়।
অথবা বেশি পরিমাণে ইউরিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে যেমন লাল মাংস রুটি ইত্যাদি খাওয়া। এই সমস্ত খাবার থেকে উৎপাদিত ইউরিক অ্যাসিড কিডনি যদি ঠিকমতো পরিশোধন করতে না পারে তাহলে বাত রোগের সমস্যা বা লক্ষণসমূহদেখা দিতে পারে।
সময়ের সাথে সাথে, ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল আকারে জয়েন্টগুলিতে জমা হয়, যার ফলে জয়েন্টগুলি ফুলে যায় এবং ব্যথা হয় এবং ধীরে ধীরে জয়েন্টগুলি শক্ত হয়ে যায়। আর্থ্রাইটিস সাধারণত পায়ের আঙ্গুলের জয়েন্টগুলিকে বেশিপ্রভাবিত করে।
বাত রোগের প্রাদুর্ভাবঃ
সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে 40 থেকে 50 বছরের দিকে বেশি হয়ে থাকে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে সাধারণত 45 বছরের পরে এটি বেশি হয়ে থাকে। অর্থাৎ মহিলাদের যখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তারপর থেকে বাত রোগে বেশি আক্রান্ত করে থাকে। বাত রোগ সাধারণত শিশু-কিশোরদের তেমন একটা আক্রান্ত হতে দেখা যায় না
বাত রোগের কারণঃ
আমরা পূর্বেই বলেছি শরীরের জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমে আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগ হয়ে থাকে। 20 শতাংশেরও বেশি রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যায় আর্থ্রাইটিসের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে। অর্থাৎ পরিবারের কারো না কারো আগে হয়তো বাত রোগ ছিল।
যেসব কারণে বাত রোগ বেশি হয়ে থাকে সেই কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, কিডনি রোগ, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া (এক ধরনের অ্যানিমিয়া)। নিয়মিত অ্যালকোহল পান শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণে বাধা দেয় এবং এর ফলে আর্থ্রাইটিসের বা বাত রোগেরঝুঁকি বাড়ায়। কিছু ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন, বিভিন্ন মূত্রবর্ধক, লেভোডোপা, সাইক্লোস্পোরিন ইত্যাদি বেশি মাত্রায় সেবন করলে অনেক সময় তা আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
বাত কত প্রকার ও কি কিঃ
বাত রোগ সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমনঃ ১। সন্ধি বাত বা গাট বাত ২। গেটেবাত ৩। কুটিবাত বা কোমর ব্যাথা ৪। মেরুদণ্ড ব্যথা বা স্পন্ডিলাইটিস ৫। সায়াটিকা বা স্নায়ুশূল ৬। আমবাত বা এলার্জি ৭। বাতজ্বর ৮। সংক্রামক বাত বা সেপটিক আর্থ্রিতিস ৯। অষ্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)/অস্থিসংযোগ গ্রন্থি ব্যাথা। এছাড়াও রয়েছে পার্শ্ববাত, ঘাড়ের বাত, স্কন্ধবাত ইত্যাদি। এগুলো কিন্তু বাত রোগের মধ্যে পড়ে। - সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
বাত রোগের চিকিৎসাঃ
চিকিত্সার প্রধান লক্ষ্য জয়েন্টগুলোতে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ হ্রাস করা এবং এর ফলে রোগের লক্ষণ এবং পরবর্তী অবনতি রোধ করা। যদি চিকিত্সা না করা হয়, আর্থ্রাইটিস জয়েন্টগুলির যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে এবং এমনকি গতিশীলতাও ব্যাহত করতে পারে।
রোগের লক্ষণ ঘন ঘন না দেখা দিলে মানুষ সাধারণত এই রোগেরচিকিৎসা নিতে চায় না। এই রোগের ওষুধের মধ্যে রয়েছে NSAID জাতীয় ঔষধ যেমন naproxen এবং indomethacin। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন এবং সেই সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। স্টেরয়েড ওষুধ যেমন প্রিডনিসোলোনও মুখে নেওয়া যেতে পারে বা আক্রান্ত স্থানে ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। অ্যালোপিউরিনল, কোলচিসিন এবং প্রোবেনসিড আলাদাভাবে বা একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি তখনই কার্যকর হয় যখন লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার 12 ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করা হয়।
বাত রোগ থেকে মুক্তির উপায়ঃ
বাতের সমস্যা থেকে মুক্তির সবচেয়ে ভালো উপায় হল প্রতিরোধ। রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অ্যালকোহল এবং ইউরিক অ্যাসিড স্টোরেজ বাড়ায় এমন খাবার থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন।
এছাড়া রোগীকে প্রচুর পানি পান করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, সুষম খাবার খেতে হবে এবং শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে।
শেষ কথাঃ
রোগ কিন্তু কোনটাই ছোট নয়। যে রোগ যখন হয় সেই রোগী তখন বিরাট আকার ধারণ করে। আর সেই রোগের কারণে চরম ভোগান্তি ও হয়ে থাকে ভুক্তভোগী রোগীর। তাই কোন রোগ হওয়ার আগেই আমাদের সবারই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে এবং নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে। আমাদের অভ্যাস এখন এমন হয়ে গেছে যে আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনেকটা ভিন্ন রকমের হয়ে গেছে যা আমাদের মুখে ভাল লাগলে তা শরীরেরউপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে থাকে।
আর আমরা এতটা অলস প্রকৃতির হয়ে গেছি যে ব্যায়াম তো দূরের কথা পেশাদারিত্বের জন্য যে কাজগুলো করতে হয় তাও আমরা অনেক সময় ঠিকভাবে করিনা। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবেই যদি আপনি আপনার শরীরকে ভালোবাসেন, আপনি যদি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চান। কথায় আছে “ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম”।
বাত ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়,কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে,বাত রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,বাত ব্যাথার ঔষধের নাম বাংলাদে্শ,কটিবাত কি,বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়,বাত কত প্রকার,Ways to get rid of rheumatic pain, what can be done to increase the pain of rheumatism, home remedies for rheumatism, the name of rheumatic pain medicine in Bangladesh.What is arthritis, where is the pain of arthritis, how many types of arthritis,